LifestyleFashionসমাধান

কেনার সময় আসল-নকল মেহেদি চেনার ১১ উপায়

Rate this post

হাতে মেহেদি না দিলে ঈদের আনন্দ কখনো পূর্ণতা পায় না! তাই রমজানের শেষ মুহূর্তে এসে সবাই মেহেদি কেনার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দেয়। তবে হাতের কাছে যে-সে মেহেদি পেলেই কম মূল্যে কিনবেন না। এতে মারাত্মক বিপদ হতে পারে।

বেশ কয়েক বছর ধরেই ঈদের আগে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে কেমিক্যালযুক্ত নকল মেহেদি দেদারছে বিক্রি করে আসছে। এসব মেহেদি হাতে দিলে ত্বক পুড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে অ্যালার্জি, র্যাশ বা ফোস্ক পরার সম্ভাবনা থাকে।

বিগত বছরগুলোতে এমন অনেক ঘটনার খবর মিলেছে। তাই মেহেদি কেনার আগে সতর্ক হওয়া জরুরি। জেনে নিন মেহেদি নকল কি-না তা চেনার উপায়-

১. খাঁটি মেহেদির রং কখনো কালো হয় না। সব ধরনের কালো মেহেদিতেই ভেজাল বা কেমিকেল মেশানো থাকে।

২. আসল মেহেদি কখনোই ৫ মিনিট বা তার কম সময়ে গাড় রং দেয় না। ২৪-৪৮ ঘণ্টা পর আসল মেহেদির রং গাঢ় হতে থাকে।

৩. মেহেদির রং গাঢ় খয়েরি না হলে অনেকেরই মন খারাপ হয়ে যায়। তবে জানেন কি? আসল মেহেদির রং কখনোই এতোটা গাঢ় হয় না।

৪. মেহেদির কেনার সময় মেয়াদ দেখে কিনুন। বেশি পুরোনো হলে আবার রং না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

৫. পার্লারে মেহেদি লাগাতে গেলে দেখে নিন নতুন মেহেদি দিচ্ছে কি-না। প্রয়োজনে নিজেই মেহেদি কিনে নিয়ে যান।

৬. ফ্রিজে রাখা মেহেদি ব্যবহারের আগে কিছুক্ষণ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে দিন। তারপর হাতে লাগান।

৭. শিশুদের হাতে দেওয়ার জন্য পাতা মেহেদি বেটে হাতে লাগাতে হবে। এতে শিশুর কোমল হাত সুরক্ষিত থাকবে।

৮. ৫ মিনিটেই গাঢ় লাল রং পেতে এখন অনেকেই বিভিন্ন মেহেদি ব্যবহার করে থাকেন। এগুলো ত্বক এমনকি স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। এগুলোতে প্রচুর কেমিকেল থাকে।

৯. যেকোনো মেহেদি ব্যবহারের আগে অল্প পরিমাণে হাতে অথবা কানের পিছনে ব্যবহার করুন। এতে অ্যালার্জি হলে জ্বালা-পোড়া করবে বা চুলকাবে। এমন হলে ওই মেহেদি ব্যবহার করবেন না।

১০. মেহেদিতে সাধারণত কার্বোলিক এসিড ব্যবহার করা হয়। যা ত্বকের কোষগুলোকে মেরে ফেলে এবং এর প্রতিরোধক ক্ষমতাকে ধ্বংস করে। ফলে মেহেদির রং দ্রুত গাঢ় হয়।

১১. মেহেদি থেকে অ্যালার্জি হওয়ার কারণ হলো এতে মেশানো পিপিডি কালি। এই কেমিকেল ত্বকের মারাত্মক অ্যালার্জি সৃষ্টি করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কেমিকেল মেশানো হয় মেহেদিতে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button