Bangla Health Tips | বাংলা স্বাস্থ্য টিপসHealth

শীতে ফুসফুস সুস্থ রাখতে খাবেন যেসব খাবার

Rate this post

শরীর ভালো রাখতে নজর দিতে হবে ফুসফুস সুরক্ষায়। শীতের এই সময়টা একদিকে যেমন উৎসবের আমেজ নিয়ে আসে, অন্যদিকে, শারীরিক নানা সমস্যাও তৈরি করে। শরীর সুস্থ রাখতে ফুসফুস সুস্থ রাখা খুবই জরুরি। কোনো কারণে ফুসফুসের সমস্যা হলে দেখা দেয় শ্বাসযন্ত্রের নানা জটিলতা।

এর মধ্যে অ্যাজমা, সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) ও নিউমোনিয়া অন্যতম। এজন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পদ্ধতি মেনে চলা, সঠিক খাদ্যাভাস এবং নিয়মিত ব্যায়াম শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। অনেকেই নিয়মিত ব্যায়াম করার সময় পান না। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকা মেনে চললেও সুস্থ থাকা যায়। কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।

চলুন জেনে নেয়া যাক এই সময় কোন খাবারগুলো ফুসফুস ভালো রাখবে:

আপেল : শ্বাসযন্ত্রের জটিলতা কমাতে নিয়মিত আপেল খেতে পারেন। আপেলে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট  উপাদান অ্যাজমা ও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া যারা ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন তাদের ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতেও এই ফল বেশ উপকারী।

ব্লুবেরি : ব্লুবেরিতে রয়েছে পিউনিডিন, পেটুনিডিন, মালভিডিন, সায়ানিডিন এবং ডেলফিনিডিনের মতো অ্যান্টোসায়ানিন উপাদান। যা আপনার ফুসফুসের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া প্রতিরোধ করবে। ফুসফুস ভালো রাখতে এই ফলটি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

অলিভ অয়েল : অলিভ অয়েলে অ্যান্টি -ইনফ্ল্যামেটরী, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ই থাকায় এটি অ্যাজমা ও শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে ভূমিকা রাখে। সালাদে কিংবা রান্নায় এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।

কোকো : কোকোতে থাকা উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফুসফুস সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে। এটি অ্যালার্জিজনিত সমস্যা ও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়। তাই ডার্ক চকলেট খেতে পারেন নিয়মিত।

মসুর ডাল : মসুরের ডালে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাসিয়াম, আয়রন, কপার, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার থাকায় এটি শ্বাসযন্ত্রের নানা জটিলতা এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

কাঁচা হলুদ : কাঁচা হলুদে থাকা কারকুমিন উপাদান যেকোন ধরনের প্রদাহ কমায়। সেই সঙ্গে ফুসফুস পরিষ্কার করে এর কার্যকারিতা বাড়ায়। ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে প্রতিদিন একটু টুকরা কাঁচা হলুদ চিবিয়ে কিংবা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।

গ্রিন টি : গ্রিন টি প্রাকৃতিকভাবে ফুসফুস পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এতে থাকা পলিফেনল, অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ফুসফুসের প্রদাহ কমায় ও এর কার্যকারিতা বাড়ায়।

আদা : অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরী উপাদান সমৃদ্ধ আদা ঠান্ডা, কাশি সারাতে ভূমিকা রাখে। এটি শ্বাসনালিতে জমে থাকা টক্সিনও দূর করে। তাই নিয়মিত আদা খেতেই পারেন। এতে আপনার ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়বে।

মধু : মধুতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান শ্বাসতন্ত্রের নানা অস্বস্তি কমায়। নিয়মিত মধু খেলে শ্বাসতন্ত্রের নানা জটিলতা কমে।

ফুসফুস ভালো রাখার উপায় কী কী
ফুসফুস ভালো আছে বোঝার উপায়
ফুসফুস ভালো রাখার ব্যায়াম
ফুসফুস ভালো রাখার খাবার
ফুসফুসের জন্য উপকারী খাবার
ফুসফুস ভালো রাখার উপায় কী কী class 4
ধূমপায়ীদের ফুসফুস ভালো রাখার উপায়
ফুসফুস বুকের কোন পাশে থাকে

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button