LifestyleFood

এই সব খাবার আটকে যেতে পারে বাচ্চাদের গলায়, বাড়তি নজর রাখতে কখনওই ভুলবেন না

Rate this post

এমন অনেক খাবার আছে যা সহজেই গলায় আটকে গিয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

একদম ছোট বাচ্চারা কথা বলতে পারে না বলে তাদের শারীরিক সমস্যা নিয়ে চিন্তিত থাকেন অভিভাবকেরা। কখন পেট ব্যথা হচ্ছে, কখন জ্বর আসছে এই সব দিকে নজর থাকে তাঁদের। শারীরিক সমস্যার দিকে নজর থাকলেও বাচ্চারা কী খাচ্ছে তা অনেক সময়ই চোখের আড়াল হয়ে যায়। নিজেরাই বাচ্চাদের খাইয়ে দেন অনেক কিছু, এতে অনেক সময় বাধে বিপত্তি। এমন অনেক খাবার আছে যা সহজেই গলায় আটকে গিয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই এসব খাবার খাওয়ানোর জন্য বাড়তি নজর দিতে বলছেন চিকিৎসকরা।

১. ফল

বাচ্চাদের ছোট থেকেই ফল খাওয়ানো হয়। ফলের টুকরো যদি বড় হয় তা হলে তা খেতে বাচ্চাদের সমস্যা হতে পারে, পাশাপাশি বড় টুকরো দ্রুত গলায় আটকে যেতে পারে। তাই ফল রস করে খাওয়ানো ভালো। না হলে ভালো করে ছোট টুকরো করে কেটে খাওয়ানো ভালো।

লজেন্স, চকোলেট বা এই ধরনের খাবারও বড় টুকরো হলে তা গলায় আটকে যেতে পারে। ফলে ছোট করে টুকরো করে খাওয়ানো উচিত।

২. বিস্কুটবিস্কুট শুকনো হয় বলে এমনিতেই এটি গলায় আটকে যায়। বিস্কুট খাওয়ানোর সময় জল সামনে রাখতে হবে এবং এক্ষেত্রেও ছোট ছোট টুকরো বিস্কুট খাওয়াতে হবে। অনেক সময় বাচ্চারা গোটা বিস্কুট চোখের আড়ালে মুখে ঢুকিয়ে দেয়। তা যাতে না হয়, সে দিকে নজর দিতে হবে।

 

৩. পপকর্নএটিও শুকনো খাবার। আকারে ছোট। কিন্তু অনেক সময় বাচ্চাদের গলায় পপকর্ন আটকে যায়। ফলে পপকর্ন খাওয়ালে সেই সময় বাড়তি নজর দিতে হবে।

 

এছাড়াও খাওয়ার সময় কথা না বলাই ভালো। শুধু বাচ্চা নয়, এটি বড়দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বাচ্চা বয়স থেকেই এই অভ্যাস তৈরি করতে হবে। কারণ খেতে খেতে কথা বললে অনেক সময় খাবার গলায় আটকে গিয়ে বিপত্তি হয়। যা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

 

বাচ্চারা খাওয়ার সময় ছাড়াও ঘরে পড়ে থাকা অনেক জিনিসই খাবার ভেবে খেয়ে ফেলে। তাই ঘরে বোতাম, পেনের খাপ, কয়েন এসব ছড়িয়ে না রাখা ভালো। ঘর পরিষ্কার রাখলে অন্য কিছু তুলে খেয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।

অভিভাবক হওয়া ও বাচ্চা মানুষ করা জীবনের একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয় নিঃসন্দেহে। তার উপর বাচ্চা যতক্ষণ না হাঁটতে শেখে তা আরও চ্যালেঞ্জিং। এই সময় খাবার থেকে ঘুমানো- সবেতেই বাড়তি নজর দিতে হয়!

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button