Bangla Health Tips | বাংলা স্বাস্থ্য টিপসFoodLifestyleলাইফস্টাইল

খালি পেটে খেজুর ৮ উপকারিতা ২০২২

Rate this post

খেজুরে রয়েছে অনেক গুণ। তাই খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতেও খেজুরের অনেক গুণ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ছাড়াও খেজুরে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রন। আমাদের ক্লান্ত শরীরে যথেষ্ট পরমিাণ শক্তির জোগান দিতে সক্ষম এই খেজুর। কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা 2022 -লাইফস্টাইল

বিআরবি হসপিটালের প্রধান পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান গণমাধ্যমকে বলেন, পাকা খেজুরে প্রায় ৮০% চিনিজাতীয় উপাদান রয়েছে। সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে উপকার বেশি হয়। তাছাড়া ব্যায়াম করার ৩০ মিনিট আগে কয়েকটি খেজুর খাওয়া ভালো।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা:

ফ্যাট : খেজুরে কোনও কোলেস্টেরল এবং বাড়তি পরিমাণে চর্বি থাকে না।

ক্যানসার প্রতিরোধ : খেজুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ণ। যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের বেলায় ক্যানসারে ঝুঁকিটাও কম থাকে।

ভিটামিন : খেজুরে রয়েছে বি১, বি২, বি৩ এবং বি৫ ভিটামিন যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। সেই সঙ্গে খেজুরে দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়। সেই সঙ্গে রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর অত্যন্ত কার্যকর।

আয়রন : আয়রন হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। খেজুর প্রচুর আয়রন রয়েছে। তাই যাদের দুর্বল হৃৎপিণ্ড, তাদের জন্য খেজুর হতে পারে সবচেয়ে নিরাপদ ওষধ।

প্রোটিন : আমাদের শরীরের জন্য প্রোটিন একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। খেজুর হলো প্রোটিন সমৃদ্ধ।

ক্যালসিয়াম : ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। আর খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। যা হাড়কে মজবুত করে। খেজুর শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর : খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টিগুণ যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। কখনও কখনও ডায়রিয়ার জন্যেও এটা অনেক উপকারী।

কর্মশক্তি বাড়ায় : খেজুরে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকার কারণে খেজুর খুব দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সারাদিন রোজা রাখার পর রোজাদাররা যদি মাত্র ২টি খেজুর খান তবে খুব দ্রুত কেটে যাবে তাদের ক্লান্তি। স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে সুপরিচিত খেজুর খেতে পারেন ঘুমানোর আগে। তবে হজমের সমস্যা থাকলে ভারি খাবার খাওয়ার পর পরই খাবেন না খেজুর। ডায়রিয়া অথবা পাতলা পায়খানা থাকলেও এড়িয়ে চলুন ফলটি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button