LifestyleBangla Health Tips | বাংলা স্বাস্থ্য টিপস

সুখী দম্পতির প্রমাণ পাবেন ৫ প্রশ্নে

Rate this post

সুখী দম্পতির প্রমাণ পাবেন ৫ প্রশ্নে

সুখী দম্পতির প্রমাণ পাবেন ৫ প্রশ্নে যেকোনো সম্পর্ক সুন্দর করতে প্রয়োজন যত্নের। প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্কটা তো আরও নাজুক। খুব যত্ন করে এই সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হয়। সময় নিয়ে একে অপরকে বুঝে নেওয়া, যেকোনো পরিস্থিতিতে পাশে থাকা এগুলো সুন্দর সম্পর্কের পূর্ব শর্ত। এর বাইরেও কিন্তু অনেক ছোট বিষয় রয়েছে। যেগুলোর যত্ন নিতে হয়।

বাইরে থেকে দেখে ‘হ্যাপি কাপল’ বা সুখী দম্পতি মনে হলেও, অনেকেরই কিন্তু ভেতরের চিত্রটা ভিন্ন। কেউ আবার প্রিয়জনের সঙ্গে বোঝাপড়ার বাইরে অন্য় কিছুতে সুখ খুঁজে বেড়ান। তবে অনেকেই রয়েছেন, যারা সত্যিকার অর্থেই সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন। তারা কিন্তু প্রায়ই নিজেদের কয়েকটি প্রশ্ন করেন। যেগুলোর উত্তরের সঙ্গে নিজেদের মিলিয়েও নেন। যখন মিলে যায় তখনই তারা সুখী দম্পতির স্বাদ পান। দাম্পত্য সুখের রহস্য কিন্তু লুকিয়ে থাকে এই কয়েকটি প্রশ্নেই।

সম্পর্ক নিয়ে কী ভাবেন : সম্পর্ক হলো চারা গাছের মতো। যত্ন করলে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে। সম্পর্কও ধীরে ধীরে গভীর হয়। সম্পর্ক নিয়ে দুইজনের চিন্তাভাবনা কতটুকু মেলে তা দেখুন। সম্পর্কে ঝগড়া, সমস্যা আসতেই পারে। রাগও হতে পারেন। প্রিয়জন কী চাইছেন তা অবশ্যই জেনে নিন। সম্পর্ক এগিয়ে নিতে দুজনেরই ভূমিকা রয়েছে। তাই ভাবনাগুলো শেয়ার করুন। কেমনটা চাচ্ছেন, কীভাবে চাচ্ছেন, কীভাবে আরও সুন্দর করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করুন।

প্রিয়জন কী চায় : প্রথমেই বুঝতে হবে সঙ্গী কী চাইছেন। প্রিয়জনের চাওয়া পাওয়ার গুরুত্ব দিলেই সম্পর্ক সুন্দর হবে। তার চাওয়া, ইচ্ছেগুলো জানুন। সেই মতো ইচ্ছে পূরণ করুন। নিজের চাওয়াগুলোও সঙ্গীকে খুলে বলুন। এভাবেই সম্পর্ক সুন্দর হয়।

সঙ্গীর মনের কথা জানেন কি : সঙ্গীর মনের খোঁজ নিন। তার মনের কথা জানুন। স্ট্রেস এখন জীবনের অঙ্গ। যা সঙ্গীকে হতাশায় ঠেলে দেয়। হতাশা থেকে একসময় মন মেজাজও খারাপ হতে পারে, যা দাম্পত্য জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি ভুল বোঝাবুঝিও হতে পারে। তাই মনের খোঁজ নিন।  প্রয়োজনে যেকোনো নেতিবাচক পরিস্থিতি কাটিয়ে নিতে সহায়তা করুন।

বন্ধু নিয়ে ছন্দ – বন্ধু নিয়ে কবিতা – বন্ধু নিয়ে উক্তি এখানে পাবেন।

সম্পর্কের বাইরের জীবনটা কেমন হবে : প্রিয়জনকে নিয়েই সারাক্ষণ থাকবেন, শুধু তাকেই সময় দিবেন বা সময় দিতে হবে বলে বাধ্য করবেন এটা কিন্তু ঠিক নয়। স্বামী বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেবেন আর স্ত্রীও তার বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাবেন, আর তাতে কোনো আপত্তি হবে করবেন না। তবেই তো বোঝাপড়ার জায়গাটা মজবুত হবে। একে অন্যের প্রতি বিশ্বাসের জোরটাও প্রমাণ পাবে। পাহারাদার না হয়ে সঙ্গীর ভালো বন্ধু হোন। কোনো কিছু লুকোবেন না। সব সময় আলোচনা করে নেবেন ।

ভবিষ্যৎ জীবনের লক্ষ্য কী : দাম্পত্য জীবনের ভবিষ্যৎ ভাবনাগুলোও ঠিক করে নিন। নিজের পরিকল্পনাগুলো শেয়ার করুন। সঙ্গীর প্রত্যাশিত ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও জানুন। সেভাবেই পরিকল্পনাগুলো সাজিয়ে নিন। তার স্বপ্নপূরণে পাশে থাকুন। তাকে সাহায্য করুন। প্রিয়জনের স্বপ্নপূরণ মানে আপনাদের দুজনেরই স্বপ্নপূরণ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button