Science | বিজ্ঞানTechnology | প্রযুক্তি

এক নজরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সকল তথ্য

Rate this post

এক নজরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে ২.৪ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পরিকল্পিত পারমাণবিক বিদ্যু ৎ
কেন্দ্র যা বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর নামক স্থানে নির্মীত হচ্ছে। এটি হতে যাচ্ছে
বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যার প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু
করবে।
[১][২] এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রাশিয়ার রোসাটোম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি কর্পো রেশন কর্তৃক নির্মিত হচ্ছে।
অবস্থান
বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা থেকে ২’শ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার অন্তর্গতক
পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামে নির্মিত হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যু ৎ কেন্দ্র।
[৩] প্রকল্পটি পদ্মা নদীর উপরে
নির্মিত হার্ডিঞ্জ ব্রীজ ও লালন শাহ সেতুর পাশেই নদীতীরে অবস্থিত।
১৯৬১ সালে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যু ৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
১৯৬২ সালে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার পদ্মা নদী তীরবর্তী রূপপুর-কে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যু ৎ
কেন্দ্রের স্থান হিসেবে নির্বাচন করা হয়। একাধিক সমীক্ষার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের যথার্থতা যাচাই করা হয়।
পারমাণবিক বিদ্যু ৎ প্রকল্পের জন্য ২৬০ একর এবং আবাসিক এলাকার জন্য ৩২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।
১৯৬৮ সালের মধ্যে ভূমি উন্নয়ন, অফিস, রেষ্ট হাউজ, বৈদ্যু তিক সাব-ষ্টেশন ও কিছু আবাসিক ইউনিটের নির্মাণ
কাজ আংশিক সম্পন্ন করা হয়।
১৯৬৯ সালে ২০০ মেগা-ওয়াট বিদ্যু ৎ উৎপাদনের এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত তৎকালীন পাকিস্তান সরকার
বাতিল করে দেয়।
১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান ২০০ মেগা-ওয়াট বিদ্যু ৎ উৎপাদনের একটি পারমাণবিক বিদ্যু ৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ
করেন।
(১৯৭৭-১৯৮৬) সালে “মেসার্সসোফরাটম” কর্তৃক পরিচালিত ফিজিবিলিটি স্টাডির মাধ্যমে রূপপুরে পারমাণবিক
বিদ্যু ৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন যৌক্তিক বলে বিবেচিত হয়।
একনেক কর্তৃক পারমাণবিক বিদ্যু ৎ কেন্দ্র (১২৫ মেগাওয়াট) নির্মাণ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়।
কিন্তু বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়নি।
১৯৮৭ সালে জার্মানী ও সুইজারল্যান্ডের দুটিদু কোম্পানি কর্তৃক দ্বিতীয়বার ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়। উক্ত
স্টাডির মাধ্যমে প্রকল্পের আর্থিক ও কারিগরী যৌক্তিকতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। এ স্টাডিতে ৩০০-৫০০ মেগা-ওয়াট
পারমাণবিক বিদ্যু ৎ কেন্দ্র স্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ পরমাণুশক্তি কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ড. এম.এ ওয়াজেদ মিয়া কর্তৃক ৬০০
মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যু ৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ সময়ে মানব
সম্পদ উন্নয়নসহ কিছু প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।
সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ নিউক্লিয়ার পাওয়ার এ্যাকশান প্লান-২০০০ অনুমোদিত হয়।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যু ৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের অঙ্গীকার
করা হয়।
২০০৯ সালে “রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যু ৎ কেন্দ্র স্থাপনে অপরিহার্যকার্যাবলী সম্পাদন” শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পের
মাধ্যমে পারমাণবিক বিদ্যু ৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রাথমিক কার্যাবলী ও পারমাণবিক অবকাঠামো উন্নয়নের
কার্যক্রম শুরু করা হয়।
১৩ মে ২০০৯ তারিখে বাংলাদেশ পরমাণুশক্তি কমিশন এবং রাশান ফেডারেশনের স্টেট এ্যটমিক এনার্জি
কর্পো রেশন (রোসাটোম)-এর মধ্যে ‘পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার’ বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক
স্বাক্ষর হয়।
২০১০ সালের ২১ মে তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং রাশান ফেডারেশন সরকারের মধ্যে
‘পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার’ বিষয়ক Framework Agreement স্বাক্ষরিত হয়।
প্রকল্পটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি জাতীয় কমিটি, মাননীয় মন্ত্রী,
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সভাপতিত্বে কারিগরি কমিটি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে
একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ ও ৮টি সাবগ্রুপ গঠন করা হয়।
১০ নভেম্বর ২০১০ তারিখে মহান জাতীয় সংসদে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যু ৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সিদ্ধান্ত প্রস্তাব
গ্রহণ করা হয়।
২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে আন্তর্জা তিক পরমাণুশক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর মহাপরিচালক মি: ইউকিআ
আমানো বাংলাদেশ সফর করেন এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যু ৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে আইএইএ থেকে সকল
ধরণের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
২০১১ সালের ৯-১৫ নভেম্বর তারিখে বাংলাদেশের পারমাণবিক অবকাঠামোর সার্বিক অবস্থা মূল্যায়নের
জন্য IAEA Integrated Nuclear Infrastructure Review (INIR) mission পরিচালিত হয়।
২ নভেম্বর, ২০১১ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এবং রাশান ফেডারেশন সরকারের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক
বিদ্যু ৎ কেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত আন্তরাষ্ট্রিয় সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯ জুনজু, ২০১২ তারিখে Bangladesh Atomic Energy Regulatory Act-2012 পাশ করা হয়।
২০১৩ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাশান ফেডারেশন সফরকালে (১৫ জানুয়ারী ২০১৩) রূপপুর পারমাণবিক
বিদ্যু ৎ কেন্দ্রের Preperatory stage of construction কার্যাদি সম্পাদনের জন্য State Export Credit চুক্তি
স্বাক্ষরিত হয়।
স্বাক্ষরিত আন্তরাষ্ট্রীয় চুক্তি (IGA) এবং State Export Credit Agreement-এর ভিত্তিতে রূপপুর পারমাণবিক
বিদ্যু ৎ কেন্দ্র স্থাপন (১ম পর্যায়) প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
২ অক্টোবর, ২০১৩ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক রূপপুর পারমাণবিক
বিদ্যু ৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রথম পর্যায় কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ তারিখে পারমাণবিক বিদ্যু ৎ কেন্দ্রের Operating Organization প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনা
পদ্ধতির বিধান সম্বলিত পারমাণবিক বিদ্যু ৎ কেন্দ্র আইন-২০১৫ জারী করা হয়। ১৮ আগস্ট, ২০১৫ তারিখে
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যু ৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য পারমাণবিক বিদ্যু ৎ কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার জন্য Nuclear
Power Plant Company Bangladesh Limited (NPCBL) গঠন করা হয়।
২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ তারিখে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যু ৎ কেন্দ্র নির্মাণের মূল পর্যায়ের কার্যাবলী সম্পাদনের
জন্য General Contract for Rooppur Nuclear Power Plant Construction স্বাক্ষরিত হয়।
১০-১৪ মে, ২০১৬ তারিখে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যু ৎ কেন্দ্র নির্মাণ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পারমাণবিক
অবকাঠামো প্রতিষ্ঠার বিষয়ে IAEA-এর সুপারিশ বাস্তবায়ন অগ্রগতি রিভিউ করার জন্য INIR follow-up
mission পরিচালনা করা হয়।
২১ জুনজু, ২০১৬ তারিখে বাংলাদেশ পরমাণুশক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যু ৎ
কেন্দ্রের Site Licence প্রদান করা হয়।
২৬ জুলা জু ই, ২০১৬ তারিখে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যু ৎ প্রকল্পের মূল পর্যায়ের কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং রাশান ফেডারেশন সরকারের মধ্যে স্টেট ক্রেডিট চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যু ৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ে রাশান ফেডারেশন ও বাংলাদেশ পক্ষের
সমন্বয়ে গঠিত Joint Coordinating Committee (JCC)-এর একটি সভা গত ২২ জুনজু ২০১৬ তারিখে ঢাকায়
অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যু ৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট Spent nuclear fuel
management, nuclear fuel supply এবং operation and maintenance সংক্রান্ত Contract -এর বিষয়ে
কতিপয় গরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
১৫ মার্চ, ২০১৭ তারিখে বাংলাদেশ ও রাশান ফেডারেশনের মধ্যে “রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যু ৎকেন্দ্রের স্পেন্ট
ফুয়েল রাশিয়ায় ফিরিয়ে নিতে পারস্পরিক সহায়তা” সংক্রান্ত একটি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
২০১৭ সালের এপ্রিল পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্নব্যবহারে বাংলাদেশ ও ভারত সরকার এবং গ্লোবাল সেন্টার
ফর নিউক্লিয়ার এনার্জি পার্টনারশিপ ( জিসিএনইপি) , ভারতের পরমাণুশক্তি সংস্থা , বাংলাদেশ পরমাণুশক্তি
কমিশন , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যু ৎকেন্দ্র স্থাপনে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর
করে।
আন্তর্জা তিক পরমাণুশক্তি সংস্থার মহাপরিচালক ইঊকিয়া আমানো ২০১৭ সালের ৩ জুলা জু ই রূপপুর
পারমাণবিক বিদ্যু ৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি এ কেন্দ্র স্থাপনে সকল
আন্তর্জা তিক মানদন্ড অনুসরণ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন । রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যু ৎকেন্দ্রের স্পেন্ট ফুয়েল
রাশিয়ায় ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও রাশান ফেডারেশনের সাথে ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট এক সহযোগিতা চুক্তি
স্বাক্ষরিত হয়।
৪ নভেম্বর, ২০১৭ একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরমাণুশক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাংলাদেশ পরমাণু
শক্তি কমিশনের অনুকূলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যু ৎকেন্দ্রের Design and Construction License প্রদান করা
হয়।
৩০ নভেম্বর, ২০১৭ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যু ৎকেন্দ্রের ১ নং ইউনিটের প্রথম কংক্রিট ঢালাই মাননীয় প্রধান মন্ত্রী
উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পারমাণবিক বিদ্যু ৎকেন্দ্র নির্মাণের পথে পা দিয়েছে এবং দেশ
পারমাণবিক বিদ্যু ৎ ক্লাবে পদার্পণ করেছে। আশা করা যায়, আগামী ২০২৩ সালে রূপপুর পারমাণবিক
বিদ্যু ৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যু ৎ সরবরাহ শুরু হবে।
@circularnews24.com
তথ্যসূত্র: www .rooppurnpp.gov.bd
সম্প্রতি বিদ্যু ৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তা দের জন্য ক্রয় করা আসবাবপত্রের হিসাবের টাকার মধ্যে ব্যাপক দুর্নী দু তির
অভিযোগ উঠে। এরমধ্যে একটি বালিশের দাম দেখানো হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা এবং নিচ থেকে উপরে
উঠানোর খরচ দেখানো হয়েছে প্রায় সাতশত টাকা। এটি নিয়ে সারা দেশজুড়েজু আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দুর্নী দু তি
দমন কমিশন (দুদকদু ) তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেয়।তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
[৪][৫][৬]
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যু ৎ কেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে দেশীয় ও আন্তর্জা তিক সকল বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন এবং
আন্তর্জা তিক মানদন্ড অনুসরণ করা হচ্ছে। মানব সম্পদ উন্নয়ন, রিঅ্যাক্টরের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পরিবেশের
ভারসাম্য সংরক্ষণ প্রভৃতি কাজ যথাযথ গুরুত্বের সাথে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ পারমাণবিক বিদ্যু ৎ কেন্দ্রের জন্য
নির্বাচিত পারমাণবিক চুল্লিতে নিম্নবর্ণিত পাঁচ স্তরের
[৭]
নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকবে:
ফুয়েল পেলেট:
নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরের পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রথমটি হচ্ছে ফুয়েল পেলেট, যা অতি উচ্চ তাপমাত্রায় তার
জ্বালানী বৈশিষ্ট্য বজায় রাখতে পারে। ফুয়েল পেলেট সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরী করা হয়, ফলে তেজস্ক্রি
ফিশন প্রোডাক্টসমূহ পেলেটের ভেতরে অবস্থান করে।
ফুয়েল ক্ল্যাডিং:
ফুয়েল পেলেটগুলো জিরকোনিয়াম অ্যালয়ের তৈরী ফুয়েল ক্ল্যাডিং দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে। বিশেষ কোন কারণে
সামান্য পরিমাণ ফিশন প্রোডাক্ট ফুয়েল পেলেট থেকে বের হয়ে আসলেও তা এই ক্ল্যাডিং এ ভেদ করতে পারবে
না।
রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল:
নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের জন্য বিশেষ মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পুরু ইস্পাতের প্রেশার
ভেসেল তৈরী করা হয় যা, উচ্চ তেজষ্ক্রিয় অবস্থাতেও দীর্ঘস্থায়ী হয়।
প্রথম কন্টেইনমেন্ট বিল্ডিং:
রিইনফোর্সড কনক্রিট দিয়ে ১.২ মিটার পুরুত্বের প্রথম কন্টেইনমেন্ট বিল্ডিং তৈরী করা হয়, যা যেকোন
পরিস্থিতিতে তেজস্ক্রিয়তা পরিবেশে ছড়িয়ে পড়া থেকে বিরত রাখে।
রূপপুর প্রকল্পের দিনলিপি
প্রকল্পে দুর্নী দু তি
নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য
দ্বিতীয় কন্টেইনমেন্ট বিল্ডিং:
নিরাপত্তা ব্যবস্থা অধিকতর জোরদার করার জন্য আধুনিক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টগুলোতে প্রথম
কন্টেইনমেন্ট বিল্ডিং-এর পর আরও ০.৫ মিটার পুরুত্বের আরও একটি কন্টেইনমেন্ট বিল্ডিং যুক্ত করা হয় যা
বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যো দু গ, বিমান দুর্ঘ দুটনা ইত্যাদি থেকে প্লান্টকে সুরক্ষা করে। এই পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের
কারণে মনুষ্য সৃষ্ট ঘটনা/দুর্ঘ দুটনা বা প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেমন- শাক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, ভুমিকম্প, বন্যা ইত্যাদিও প্রভাব
মোকাবেলায় সক্ষম থাকবে এই পারমাণবিক চুল্লি।
এই পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ছাড়াও এই প্লান্টের ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যাতে ৮ মাত্রার
ভূমিকম্পেও প্লান্ট নিরাপদ থাকবে।এছাড়া ৫.৭ টন পর্যন্ত ওজনের বিমানের আঘাতেও এটি অক্ষত থাকবে।
🌹🌹 আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট করা হয়েছে🌹🌹

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রথম আলো
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুবিধা
বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কয়টি
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উইকিপিডিয়া
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে কোন দেশ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২২
Npcbl কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কি

Related Articles

2 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button