LifestyleBangla Health Tips | বাংলা স্বাস্থ্য টিপস

চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আমের ব্যবহার

Rate this post

এখন চলছে আমের মৌসুম। মিলছে নানা জাতের সুস্বাদু সব আম। সুস্বাদু রসাল এই ফলটির পুষ্টিগুণের কথা প্রায় সবারই জানা। তবে এটি খাওয়ার পাশাপাশি যোগ হতে পারে আপনার নিয়মিত বিউটি রুটিনেও। বিশেষ করে আপনার চুলের যত্নে।

চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ও চুলকে মনের মতো করে তুলতে ঘরোয়া পদ্ধতির উপকরণে রাখতে পারেন আম। এ ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার, প্রচুর পরিমাণে কপার, ফোলেট, কার্বোহাইড্রেট— এমনকি প্রোটিনও। এ ছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন— এ, বি৫, বি৬, সি, ই, কে’র মতো প্রায় পাঁচ রকমের ভিটামিন।

আমের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানকে বিউটি প্রোডাক্টের প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি উপকরণ হিসেবেও কাজে লাগানো হচ্ছে। বিশেষ করে হেয়ারকেয়ার প্রোডাক্টগুলোতে এর ব্যবহার হচ্ছে অনেক। তাই এ ফলকে সৌন্দর্যচর্চায় কাজে লাগাতে পারেন আপনিও।

জানুন চুলের যত্নে আমের ব্যবহার পদ্ধতি—

১. খুশকি সমাধানে আমের তেল: চুলের বিভিন্ন সমস্যার মাঝে অন্যতম হচ্ছে খুশকি। অনেকেই ভোগেন বিরক্তিকর এ সমস্যাটিতে। মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক ও তৈলাক্ত হলে এ সমস্যাটি বেশি হয়ে থাকে। আর মাথার ত্বক শুষ্ক ও তৈলাক্ত হয়ে থাকে সিবাম ভারসাম্যহীনতার কারণে।

আমে ভিটামিন এ থাকায় এটি সিবামের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। খুশকির সমস্যা সমাধানের উপকরণ হিসেবে সহজেই ঘরেই বানিয়ে ফেলতে পারেন আমের তেল।

যেভাবে বানাবেন

এক কাপ নারিকেল বা জলপাই তেলে আধাকাপ আমের পাল্প মিশিয়ে নিতে হবে। এর পর চুলোয় একদম অল্প আঁচে এক ঘণ্টা জ্বাল দিতে হবে। হয়ে গেলে মিশ্রণটি ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিলেই তৈরি আমের তেল। এর সঙ্গে কিছু মেথি ভিজিয়ে রাখলে মিলবে বাড়তি পুষ্টি।

যেভাবে ব্যবহার করেবেন

গোসলের আগে মাথার ত্বকে আমের তেল খুব ভালোমতো লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে তিন দিন এটি ব্যবহারে মিলবে ভালো ফল।

২. চুল পড়া রোধে এবং বৃদ্ধিতে: আমে থাকা ভিটামিন সি এবং পলিফেনল মিলে চুল ওঠা সমস্যা সমাধানে কাজ করে। আর এর ভিটামিন এ ও ই চুলের গোড়া মজবুত করে এর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এ দুই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন আম দিয়ে তৈরি উপকরণে।

যেভাবে ব্যবহার করবেন

আমের পাল্পের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ জলপাই তেল মিশিয়ে নিন। এর পর মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহ দুই এটি ব্যবহার করলে পাবেন ভালো ফল।

৩. চুলের আগা ফাটা সমস্যায়: অতিরিক্ত কেমিক্যালযুক্ত পণ্য ব্যবহারের কারণে, পানির সমস্যায় এবং শরীরে পানিশূন্যতার কারণে অনেক সময় চুলের আগা ফেটে যায়। এ রকম সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করতে পারেন আমের হাইড্রেটিং মাস্ক।

যেভাবে ব্যবহার করবেন

আমের পাল্পে চার টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল এবং এক টেবিল চামচ ক্যাস্টর তেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন। এর ব্যবহারে মাথার ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি জুগিয়ে চুলের আগা ফাটা রোধ করবে।

৪. চুল মসৃণ করতে: ধুলোবালি আর সূর্যের আলোতে চুল হয়ে যেতে পারে রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ। এমন হলে চুলকে নরম ও মসৃণ করে তুলতে পারে ডিপ কন্ডিশনিং। আমের ব্যবহারেই করে ফেলতে পারেন এ কাজটি।

যেভাবে করবেন

আমের পাল্পের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ পরিমাণ টকদই আর একটা ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিতে হবে। এর পর মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে ৪০-৪৫ মিনিট রেখে দিন। এর পর কুসুম গরম পানির ব্যবহার করে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন ব্যবহারেই মিলবে ভালো ফল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button